কক্সবাজার পরিচিতি | Introduction to Cox's Bazar

 

  কক্সবাজার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


 ১। কক্সবাজার জেলা

কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার জেলা চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, যা ১২২ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর  

"বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার "আরো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নাম যশ ও খ্যাতি নিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ এখনো কক্সবাজার।কিন্তু আমরা অনেকেই আমাদের নিজের জেলা সম্পর্কে জানিনা তাই আমরা আমাদের কক্সবাজার জেলার উপজেলা এবং বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোর বিবরণী এবং তার ভ্রমণ গাইড একসাথে দেওয়ার চেষ্টা করবো।কক্সবাজার বাংলা নিউজ ডটকমের সাথে থাকুন 

। কক্সবাজারের ইতিহাস: History of Cox's Bazar

বিভিন্ন ইতিহাস রেফারেন্স থেকে জানা যায় মোগল সম্রাট শাহ সুজা কক্সবাজার নিকটস্থ চকরিয়ার ডুলাজারায় ক্যাম্প স্থাপন করেছিল এবং তাদের আয়ত্তে এনেছিল।ধারনা করা হয় তার একহাজার পালংকি উক্ত জায়গায় অবস্হান নেই যার কারণে পালংকি নাম হয়ে যায়। এরপর ত্রিপুরা,আরকান,পর্তুগিজ ,ব্রিটিশরা এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়

এখন আপনার কাছে প্রশ্ন জাগতে পারে? তাহলে "কক্সবাজার নামকরন" হল কিভাবে?

আসুন এবার জানি কক্সবাজার নামকরণ কোথা থেকে হল!!

কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন 

হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে
 কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি ১৭৭৩ সালে বাংলার গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন হিরাম কক্স তখন হিরামকক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন আরকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের সংঘাত নিরসন চেষ্টা করেন কিন্তু তা সফল হওয়ার আগে ১৭৯৯ ইন্তেকাল করেন তার কাজকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কক্সবাজার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা গঠিত হয় এবং বছরই কক্সবাজারচকরিয়ামহেশখালী  টেকনাফ থানার সমন্বয়ে কক্সবাজার মহকুমা গঠিত হয় পরে টেকনাফ থেকে উখিয়া, মহেশখালী থেকে কুতুবদিয়া এবং কক্সবাজার সদর থেকে রামু থানাকে পৃথক করে এই মহকুমার অধীনে তিনটি নতুন থানা গঠিত হয় ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলাকে টাউন কমিটিতে রূপান্তর করা হয় ১৯৭২ সালে টাউন কমিটি বিলুপ্ত করে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয় প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৮৪ সালের মার্চ কক্সবাজার মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয় সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৩ এপ্রিল বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা থেকে পেকুয়া উপজেলাকে পৃথক করা হয়

 

 

      ৩।কক্সবাজার পর্যটন আকর্ষন

পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনেক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্র নির্মিত মোটেল ছাড়াও সৈকতের নিকটেই বিশটি পাঁচতারা হোটেল রয়েছে 

এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট সীমান্তপথে মিয়ানমার (পূর্ব নাম - বার্মা), থাইল্যান্ডচীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে বার্মিজ মার্কেটএখানে রয়েছে দেশের একমাত্র ফিস একুরিয়াম আরো রয়েছে প্যারাসেলিং,ওয়াটার বাইকিং,বিচ বাইকিং,কক্স কার্নিভাল সার্কাস শো,দরিয়া নগর আদিনাথ মন্দির

  1.      ইনানী সমুদ্র সৈকত
  2.     কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
  3.   টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
  4.     ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
  5.    মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার
  6.    রামু সেনানিবাস
  7.      শাহপরীর দ্বীপ
  8.    শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
  9.      সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক
  10.      সেন্ট মার্টিন্ দ্বীপ
  11.      সোনাদিয়া দ্বীপ
  12.     হিমছড়ি
  13.      হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান
  14.      বরইতলি ঝর্ণা

 

     কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত একটি সৈকত ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত  তবে অস্ট্রেলিয়ার ১৫১ কিলোমিটার (৯৪ মাইল) দীর্ঘ নব্বই মাইল সমুদ্র সৈকত বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত, যদিও অস্ট্রেলিয়ার সৈকতটির কিছু অংশ মনুষ্যসৃষ্ট  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ

  ৪।কক্সবাজারের অর্থনীতি

[]কক্সবাজারের প্রধান পেশা: কৃষি, মৎস্যজীবি, কৃষি শ্রমিক, মজুর, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য

[]প্রধান শস্য: ধান, আলু, ডাল, পিঁয়াজ, হলুদ, আঁদা, গম, আঁখ, তামাক, রাবার, সবজী, পান, সুপারি

[গ]প্রধান ফল: আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, নারিকেল, লিচু, পেয়ারা, তাল

[ঘ]কারখানা প্রতিষ্ঠান: চালের কল ৪৭৩টি, লবণের কল ৩৮টি, বরফের কল ৬৪টি, ময়দার কল ১৪৫টি, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (শুঁটকি) শিল্প ৩১টি, মৎস্য-খাদ্য কল ১টি, 'মিল, ছাপাখানা ১৮টি

[ঙ]খনিজ পদার্থ: প্রাকৃতিক গ্যাস, জিরকন, লিমেনাইট, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, মোনাজাইট, কোরালিন, লাইমস্টোন

[চ]রপ্তানি পণ্য: পান, সুপারি, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, চীনাবাদাম, কাঠ, চিংড়ি, শুঁটকি, লবণ, তামাক, মাছ, নারিকেল, রাবার

 

 

 ৫।কক্সবারের উপজেলা

  ✪ কক্সবাজারে উপজেলা কয়টি?
    ✪কি কি? 

    ✔কক্সবাজার জেলায় মোট ৯ টি উপজেলা

1.   কক্সবাজার সদর

2.  কুতুবদিয়া

3.  উখিয়া

4.  চকরিয়া

5.  টেকনাফ

6.  পেকুয়া

7.  মহেশখালী

৮.ইদগাঁহ

৯.রামু

  এই প্রতিটি উপজেলার নিয়ে আলোচনা করা      হয়েছে তার সকল বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।   আমদের সাইটে

   ৬।কক্সবাজার ভ্রমন

  

  ☞কিভাবে আসা যায় কক্সবাজার? 

 ☞ঢাকা থেকে কক্সবাজার! 

 ☞বিমানে কক্সবাজার! 

 ☞বাসে কক্সবাজার! 

 ☞রেলে কক্সবাজার! 

   ➤ কক্সবাজারে  বিশ্বরোড দিয়ে ভ্রমন

ঢাকা থেকে সড়ক, রেল বিমান সকল পথেই কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪৪০ কি.মি. ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার রুটের বাসগুলো ছেড়ে যায় তবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর, মতিঝিল আরামবাগ থেকে অধিকাংশ বাস ছেড়ে যায়

এই রুটে এসি নন-এসি উভয় ধরনের বাস রয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী উল্লেখযোগ্য পরিবহনগুলোর মধ্যে রয়েছেগ্রীন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া, এস.আলম. পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ বাহাদুর, সেন্টমার্টিন প্রভৃতি


ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে এখনো কোনো রেল যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। রেলে করে কক্সবাজার যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হবে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস রয়েছে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়ার। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৬০ কি.মি.

     আকাশ পথে কক্সবাজার

ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে বিমান যোগাযোগ রয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট প্রতিদিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে

 

   ➤কক্সবাজার কোথায় যাব?

  ☞কক্সবাজার কোন স্থানে যাবেন? 

  আপনি কক্সবাজারে গিয়ে যা দেখতে পাবেন    তা  আমরা এর আগে পর্যটন আকর্ষণ বিভাগে আলোচনা করেছি সেগুলো আপনি সুন্দর করে ঘুরে দেখবেন ।

   ☞কক্সবাজার  কি খাবার খাব?

  ☞কক্সবাজার কোথায় খাবেন?

প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেল বা হোটেলের সন্নিকটে রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল রয়েছে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ থাকে সাগরের বিভিন্ন মাছের মেন্যুর প্রতি বিশেষ করে চিংড়ি, রূপচাঁদা, লাইট্যা, ছুরি মাছসহ মজাদার শুটকি মাছের ভর্তার প্রতিই পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি থাকে খাবারের মেন্যু অনুযায়ী একে রেস্টুরেন্টে একেক ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায় তবে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত কিছু কিছু তালিকা ভোজন রসিকদের আশ্বস্ত করেছে মোটামুটি ১০-৫০০ টাকার মধ্যে সাধ সাধ্য অনুযায়ী মজাদার খাবার গ্রহণ করতে পারবেন তবে খাবার গ্রহণের পূর্বে খাবারের নাম, মূল্য এবং তৈরির সময় সম্পর্কে জেনে নিন প্রয়োজনে খাদ্যের তালিকা মূল্য টুকে রাখুন তালিকা সঙ্গে মিলিয়ে বিল প্রদান করুন

 এখানেই শেষ করছি আজকের লেখা

বি:দ্র:- ছবির ৮ সংখ‌্যা ৯ হবে ...


কক্সবাজারে যাওয়ার টিপস
কক্সবাজার ভ্রমন টিপস
কক্সবাজার ইতিহাস 
কক্সবাজার জেলা
কক্স জার পরিচিতি
কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছবি
কক্সবাজার নিউজ
ঢাকা  টু কক্সবাজার বিমান ভাড়

Post a Comment

0 Comments